শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ খুলনা ও গাজীপুর নিটি নির্বাচনে নজীরবিহীন অনিয়মের অভিযোগ তুলে আগামী জাতীয় নির্বাচন একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের দাবী করেছেন। তারা বলেন, প্রধানমমন্ত্রী কোটা তুলে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন তারপরেও এ নিয়ে টালবাহানা ও আন্দোলনকারীদের নিগ্রহ করার কোন যৌক্তিকতা নেই। নেতৃবৃন্দ আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল রাজনৈতিক দলকে অবাধ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ দানের দাবী করেন। তারা মাদক অভিযানে এ ব্যবসার সাথে জড়িত গডফাদার ও তাদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবী জানান। আজ পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কাউন্সিলে তারা এসব কথা বলেন। দলের সহ সভাপতি ও দেশের অন্যতম শীর্ষ আলেম আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জীর সভাপতিত্বে মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া ও মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত কাউন্সিলে বক্তব্য রাখেন আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, এ্যাডভোকেট মাওরানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী, মাওলানা তফজ্জুল হক আজীজ, মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ জামী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী ও মাওলানা শোয়াইব আহমদসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।
কাউন্সিলে নেতৃবৃন্দ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য জন্য একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে রোহিঙ্গাদের সকল নাগরিক ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চীন, রাশিয়া ও আমেরিকাকে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যথায় এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবেনা। নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন মুসলিম দেশের মুসলমান হত্যা বন্ধ করার দাবী করে জেরুজালেমকে ইসরাঈলের রাজধানী বানানোর সিদ্ধন্ত—বাতিলের আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন সরকার তার উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যাপক প্রচারণায় নেমেছে। কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার, ব্যাংক লুটপাট, সীমাহীন রাস্ট্রীয় ও নানা প্রকল্প দুর্নীতি বন্ধ না করলে কাংখিত উনয়ন আসবে না। তাই প্রধানমমন্ত্রীকে মাদক সমস্যার ন্যায় উলেখিত সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রেও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে।
জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী, মাওলানা খলীলুর রহমান, মাওলানা আব্দুল বছীর, মুফতী মাসউদুল করীম, মাওলানা মুতীউর রহমান কাসেমী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা জামীল আহমদ আনসারী, মাওলানা ছানাউলাহ মাহমূদী, মাওলানা আব্দুর রহমান যশোরী, মাওলানা আনওয়ার হোসাইন পটুয়াখালভী, মুফতী তাহের কাসেমী, মাওলানা শাহজালাল, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা বশীর আহমদ, মাওলানা শাববীর আহমদ সন্ধিপীসহ ৪০ সাংগঠনিক জেলা নেতৃবৃন্দ।